বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

ঢাকাকে একটি সময়সূচির আওতায় আনতে চাইছি : মেয়র তাপস

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ অপরাহ্ণ
ঢাকাকে একটি সময়সূচির আওতায় আনতে চাইছি : মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকা শহর পরিচালনার জন্য আমরা ঢাকাকে একটি নির্দিষ্ট সময়সূচির আওতায় আনতে চাইছি। সে লক্ষ্যে একটি গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। আশা করি সবাই সর্বাত্মকভাবে আমাদের সহযোগিতা করবেন।

বুধবার (২৪ আগস্ট) শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ফ্রাঞ্চাইজ পাইলট রুটের বাস থামার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে শহর পরিচালনার এমন পদ্ধতি সারা বিশ্বেই প্রচলন আছে। সে হিসাবে আমরা ঢাকা শহরকেও একটি নির্দিষ্ট সময় পরিচালনা করতে চাই। এর আগে ঢাকার কোনো সময়সূচী ছিল না, সেটিই আমরা করতে চাচ্ছি। গণ বিজ্ঞতি অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পর সব ধরণের দোকান পাট বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ওষুধের দোকান বা ফার্মেসিকে আমরা সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি। অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকায় যেগুলো ফার্মেসি আছে তা রাত ১২ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অন্য হাসপাতালের সঙ্গে যেসব ফার্মেসি সংশ্লিষ্ট, সেগুলো রাত ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এর আগে গত সোমবার (২২ আগস্ট) একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে রাত আটটার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণীবিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার জন্য গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সেই নির্দেশনাক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় শৃঙ্খলা আনয়ন এবং ঢাকা শহর পরিচালনার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে জনস্বার্থে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।

ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়সীমার মধ্যে রয়েছে- সব দোকান পাট, শপিং মল, মার্কেট, বিপণীবিতান, কাঁচাবাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা রাত ৮ টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

একইভাবে সব ধরনের রেঁস্তোরা, খাবারের দোকান, ও দোকানের রান্না ঘর রাত ১০ টা এবং খাবার সরবরাহ রাত ১১ টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

অন্যদিকে চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহসহ চিত্ত বিনোদনমূলক স্থাপনা, প্রতিষ্ঠানগুলো রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া সাধারণ ঔষধের দোকান রাত ১২ টায় এবং হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ঔষধের দোকান রাত ২টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট