
জেদ্দায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে দেশীয় সংগীত, নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন করা হয়।
শুক্রবার (৬ মে) সন্ধ্যায় বাঙালির আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করা হয়।
শিশু-কিশোর ও প্রবাসী বাঙালিরা নানা রঙে সেজে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। হরেক রকম দেশীয় পিঠা কনস্যুলেটের স্টল ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল বাংলা ও ইংরেজি শাখার দুইটি স্টল বর্ষবরণ উৎসবে যোগ করে নতুন মাত্রা। অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আসা প্রবাসীদের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান কনসাল জেনারেল নাজমুল হক।

তিনি বলেন, নববর্ষের আনন্দ সবার মাঝে উৎসারিত হোক। সবার মঙ্গল হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। হাজার বছরের এই সংস্কৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই আয়োজন।
দীর্ঘ দুই বছর করোনা কারণে পালন করা হয়নি নববর্ষ। এবার দেশের বাইরে বৈশাখী মেলা পরিণত হয় এক খণ্ড বাংলাদেশে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে খুবই আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্থানীয় শিল্পীদের মনমাতানো দেশীয় সঙ্গীত, নৃত্য পরিবেশন দর্শকদের আনন্দ মুখর পরিবেশে পরিণত হয় পুরো অনুষ্ঠানটি।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, রাজউকের চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরি, কনস্যুলেটের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন কমিউনিটির ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর কাজী এমদাদুল ইসলাম ও কাউন্সিলর কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কার্যালয় প্রধান কাউন্সিলর মো. আজিজুর রহমান।