রোহিঙ্গাদের তহবিল সংগ্রহে যৌথ সাড়া দান পরিকল্পনা (জেআরপি) উদ্বোধন হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। এবারই প্রথম জেআরপিতে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের জন্য চলতি বছরের তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে আজ জেআরপি উদ্বোধন হচ্ছে। কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত প্রায় ৯ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশেপাশে থাকা প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি মিলিয়ে মোট প্রায় ১৪ লাখ মানুষের সহায়তার জন্য প্রায় ৮৮১ মিলিয়ন ডলারের তহবিল চাওয়া হচ্ছে। এবারই প্রথম জেআরপিতে ভাসানচরের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ২৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সেখানে স্থানান্তর করেছে।
ইউএনএইচসিআর জানায়, বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে চলতি বছর জেআরপি অনুযায়ী কাজ করবে ১৩৬টি সংস্থা, যার মধ্যে ৭৪টি হচ্ছে বাংলাদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন।
ইউএনএইচসিআর বলছে, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারেই নিহিত। অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি অনুকূল হলে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। শরণার্থী প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইউএনএইচসিআর ও অংশীদার সংস্থাগুলো মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের উপস্থিতি বজায় রাখছে। যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরতে না পারছে, ততদিন তাদের জীবন রক্ষাকারী সুরক্ষা ও সহায়তা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সহায়তা অতীতের মতোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।