শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২১ | ৩:০৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২১ | ৩:১৮ অপরাহ্ণ
জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি

রসালো ফজলি আম এবং কালো ডোরা কাটা বাগদা চিংড়ি খুব শীঘ্রই জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর বা জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে।
ফজলি আমের জিআই সনদের আবেদন করেছিল ফল উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র। আর বাগদা চিংড়ির জন্য আবেদন করে মৎস্য অধিদপ্তর।
সরকারের পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিস্টার মো. আবদুস সাত্তার সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়ে গেছে। ১৫ দিনের মধ্যে সনদ দেওয়ার কাজ শেষ হবে।
এশিয়ার বেশ কিছু দেশে বা বাগদা চিংড়ি পাওয়া গেলেও বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ির বৈশিষ্ট্য অন্য কোনটার সাথে মিলবে না। অন্য কোথাও চাষ হলেও সেটার স্বাদ ও ঘ্রাণ মিলবে না। নিয়ম অনুযায়ী স্বীকৃতির জন্য আবেদন আসার পরে এই দুটি কৃষি পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক যাচাই করা হয়েছে, দুটি জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে। এই পণ্যের নির্দেশক নিয়ে এখনো কেউ আপত্তি করেনি। জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে এটি নিজেদের বলে কেউ আপত্তি না করলে সনদ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জিআই সনদ পেলে সেই পণ্য দেশটির ব্র্যান্ড হয়ে যায়। পণ্যটি উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পায়। অন্য দেশ আর সেগুলোকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারে না। আর এতে করে বিশ্ববাজারে এর চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। ফলে দামও ভালো পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের মোট নয়টি পণ্য এ পর্যন্ত জিআই সনদ পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ইলিশ মাছ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও বাংলাদেশি কালোজিরা, জামদানি, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি এবং নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি।

সম্পর্কিত পোস্ট