শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

জাপানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

প্রকাশ: ৮ মার্চ ২০২২ | ৫:০৬ অপরাহ্ণ আপডেট: ৮ মার্চ ২০২২ | ৫:০৬ অপরাহ্ণ
জাপানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের ৫১ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে জাপানে। টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে সোমবার নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে উপস্থিত প্রবাসি বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এরপর বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ৭ মার্চ আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি অনন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন, যখন বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের এই উদাত্ত ভাষণ সমগ্র দেশবাসীকে স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্যে একিভূত করেছিল।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আরও বলেন, রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু সেদিন তাঁর স্বরচিত জাদুকরী কবিতাটি বিরামহীনভাবে আবৃত্তি করেন যা মুক্তিকামী বাঙালিকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। পরাধীন বাঙালি জাতির মুক্তির কান্ডারী বঙ্গবন্ধুর সে মুক্তির বাণী ও সংগ্রামের নির্দেশনা বুকে নিয়ে অমিত বিক্রমে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে যার পথ বেয়ে নয় মাসে অর্জিত হয় বহুকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। কালজয়ী এই ভাষণ বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও ইতিহাসের সাথে সারাজীবন মিশে থাকবে। অর্ধশত বছর পার হলেও, এখনো এই ভাষণের প্রতিটা শব্দ বাঙালি হৃদয় ছুঁয়ে যায়, মনকে শিহরিত ও আন্দোলিত করে।

এদিন উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের “সোনার বাংলা” এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

সংলাপ/০৩/০৮/০০৯ আজিজ

সম্পর্কিত পোস্ট