প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মালায়েশিয়ার মুসলমানরা সিয়াম সাধনা শুরু করলেও এ বছর একদিন পর মালয়েশিয়ায় শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। সেই হিসেবে আজ রবিবার ছিল এ দেশে এবারের প্রথম রোজা। গত দুই বছর করোনার বিধি-নিষেধের কারণে সরকার থেকে অনুমোদন না থাকায় কোথাও বসেনি রমজানের বাজার। ফলে স্থানীয় এবং প্রবাসী সকলের অনেকটা ঘরোয়া ভাবেই কেটেছিলো ইফতার আয়োজন।
তবে ১লা এপ্রিল থেকে সরকার বেশ কিছু বিধি-নিষেধ উঠিয়ে নেয়ায় এবং রমজানের বাজার বসতে অনুমতি প্রদান করায় সকলের কাছে এবারের রমজানের আমেজ একটু ভিন্ন। রমাজানের প্রথম দিনটা সবার কাটে নানা ব্যস্ততায়। সারাদিন কর্ম ব্যস্ততার পর বিকালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন ইফতারির আয়োজনে।
দেশের মত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আগে থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
তাদের ইফতারি আয়োজনে থাকে ছোলা, বুট, বেগুনি, পেঁয়াজু, খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের ফল। কর্ম ব্যস্ততার কারণে অনেকেই এসব ইফতার সামগ্রী সংগ্রহে রাখেন আগে থেকেই। আর কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টগুলোতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ছিল শাহী হালিম, জিলাপী, বুরিন্দা পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুরচপসহ দেশীয় হরেক রকম ইফতারির নানা আয়োজন। দীর্ঘ দুই বছর পর ইফতারি বাজারগুলো প্রায় চেনা রূপে ফিরেছে।
বাদ আছরের পরপরই ক্রেতা বিক্রেতার হাঁক ডাকে জমে উঠে প্রবাসীদের ইফতার বাজার। এ যেন স্বল্প সময়ের পুরান ঢাকা।
ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যা সাতটা একুশ মিনিট বাজতেই ভেসে এলো আজানের ধ্বনি। সকলেই ইফতার গ্রহণ করেন। এভাবেই নানা আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অতিবাহিত করেন রমজানের প্রথম রোজাটি।
রাজধানী কুয়ালালামপুর ছাড়াও সেলেঙ্গর, জহুরবারু, পেনাং, সেরেম্বানসহ বিভিন্ন প্রদেশে বসেছে বাংলাদেশি ইফতার বাজার। মালয়েশিয়া আগামা ইসলামের (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) সময় সূচি অনুযায়ী রবিবার কুয়ালালামপুর ও আশপাশের এলাকার সেহরীর শেষ সময় ছিল ভোর পাঁচটা পঞ্চান্ন মিনিট এবং ইফতার সাতটা একুশ মিনিট।
সংলাপ-০৩/০৪/০০৫/আ/আ