বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) দেশে উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষার প্রসারসহ চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল।
বুধবার (১৮ মার্চ) বিএসএমএমইউতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল হাসান বলেন, দেশে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যেকোনো ধরনের সহায়তার প্রয়োজন হলে তা নিশ্চিত করা হবে।
এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশকে ও দেশের মাটিকে মায়ের মতো ভালোবাসার কথাও বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না এবং বর্তমানে কেউই আজকের অবস্থানে থাকতাম না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, শিশুবান্ধব বঙ্গবন্ধু শিশুদেরকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। শিশুরা সৎ ও সুন্দর। আমাদেরকেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সততার সঙ্গে সৎ ও সুন্দর জীবনযাপনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সোনার বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশু গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও নিউট্রিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. রোকুনুজ্জামান, নিওনেটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে।