শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

চবিতে ৭ম প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ৭:২৪ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ৭:২৪ অপরাহ্ণ
চবিতে ৭ম প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু

‘সহিংসতা রোধে শান্তিপূর্ন সংহতির মাধ্যমে মানবাধিকার নিশ্চিতকরন’ প্রতিপাদ্যে ৭ম বারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রতীকী জাতিসংঘ সংগঠন সিইউমান’র উদ্যোগে শুরু হয়েছে ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন৷ এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে তিন‘শ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এছাড়া নেপাল, আফগানিস্তান  পূর্ব তিমুর থেকে ৮ জন অংশগ্রহণ করেন।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনটি চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরশি ইরতিজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইউমান এর সাধারণ সম্পাদক দেব জ্যোতি ধর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

এতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের জন্য। আপনারাও এর অংশ হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্য, তা অর্জনে আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের সংগঠনে অংশগ্রহণ আপনাদের মেধাকে আরও বিকশিত করবে।

লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমি বিশ্বাস করি আপনারা এই সংগঠনের মাধ্যমে অনেকগুলো বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন। জাতিসংঘের মূল লক্ষ্যই হলো সারা পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন করা, মানবাধিকার রক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচনসহ মানবকল্যানে কাজ করা। কিন্তু সেটা অনেকক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, সমাজের দারিদ্র্যতা বিমোচনের পরিবর্তে আমরা দারিদ্র্যতা তৈরি করছি। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমান পৃথিবীর ১ শতাংশ মানুষের কাছে সম্পদের ৬৩ শতাংশ। বাকি ৯৯ শতাংশ মানুষের কাছে ৩৭ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। তাই এ অসম অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। এর পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কূটনীতিক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার পাশাপাশি নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে৷ শিক্ষার্থীদের স্পিকিং, রিসার্চ, কমিউনিকেশান স্কিল ও স্কিল ডেভলাপমেন্টের কাজ করছে সংগঠনটি৷

সম্পর্কিত পোস্ট