কভিড-১৯ এর কারণে গত ১৩ মে থেকে বেশ কয়েকমাস ফ্লাইট বন্ধ রাখার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর আবারও আকাশপথ চালু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে বিমানবন্দরে র্যাপিড টেস্ট ল্যাব না থাকায় এতদিন যেতে পারেনি সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা। গত ৩ অক্টোবর থেকে ঢাকা থেকে আমিরাত ফ্লাইট চালু করেছে দেশের জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
ঢাকা থেকে আবুধাবি রুটে সপ্তাহে চারটি ও ঢাকা থেকে দুবাই রুটে সপ্তাহে ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা। তবে র্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন না করার কারণে এখনও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ফ্লাইট যেতে পারছেন না সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা।
আমিরাত প্রবাসীদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ চট্টগ্রামের প্রবাসী হওয়ার পরও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এখনও পর্যন্ত ল্যাব স্থাপন না করায় সেটিকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করছেন আরব আমিরাতস্থ চট্টগ্রামের প্রবাসীরা।
এ বিষয়ে আরব আমিরাত প্রবাসী ব্যবসায়ী মুহাম্মদ রুবেল ও মুহাম্মদ রাসেল বলেন, আমিরাতে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রায় ৭০ শতাংশ চট্টগ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু দেশের নীতিনির্ধারকদের কাজকর্ম দেখে সেকালের পূর্বপাকিস্তানের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানের আচরণের কথা মনে পড়ে যায়। তারা বলেন, সরকারের উচিত ছিল যেখানে ৭০ শতাংশ যাত্রীর আসাযাওয়া সেখানে আগে ল্যাব স্থাপন করা। কিন্তু তা না করে চট্টগ্রামবাসীর সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে।
গত রবিবার ১০ অক্টোবর রাত ১০টার ফ্লাইট বিজি ০০২৭ করে আসা আবুধাবিগামী প্রবাসীরা বলেন, আমাদের এ ফ্লাইটে করে ২৫০ জন যাত্রী আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে এসেছেন। যার ৯০ শতাংশ যাত্রী ছিলেন চট্টগ্রামের যাত্রী। অথচ চট্টগ্রামে বিশাল আকারের বিমান বন্দর থাকা সত্তেও আমাদেরকে প্রায় দুদিন আগে বাসে ট্রেনে ও বিভিন্নভাবে ঢাকা আসতে হয়েছে। দ্রুত র্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপন করে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালু করা এখন সময়ের দাবি।
এসময় তারা ঢাকা বিমান বন্দরে ন্যূনতম শৃঙ্খলা ও নিয়মনীতি না থাকারও অভিযোগ করেন। তারা বলেন, র্যাপিড টেস্ট ল্যাব কোম্পানির কর্মকর্তাদের মাস্ক পরিধান না করা, প্রবাসীদের সাথে খারাপ আচরণ ও বিমান বন্দরের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের প্রভাবসহ নানা অনিয়ম দেখার জন্য কোন ধরনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। র্যাপিড টেস্ট ল্যাব কোম্পানির একজন কর্মকর্তা প্রবাসীদের কামলা ও লেবার বলে গালি দেওয়ারও অভিযোগ করেন এই যাত্রীরা।
এদিকে, দীর্ঘ আন্দোলনের পর ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসেছে পিসিআর ল্যাব। তবে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর মেশিন স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেওয়ার পরও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন স্থানীয় প্রবাসীরা।