একদিনে এক কোটি মানুষকে টিকা প্রদান কর্মসূচীর আলোকে চট্টগ্রামেও চলছে গণটিকা কার্যক্রম। তাই টিকা কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে আসা মানুষের উপস্থিতি ছিল অনেক। টিকা প্রত্যাশী অনেক নারী-পুরুষ গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে নিচ্ছেন টিকা। এ সময় অনেকের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলাসহ নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা মজুত আছে। টিকা কেন্দ্রে গ্রহীতারা থাকা পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলবে। কাউকে টিকা ছাড়া বাড়ি ফিরে যেতে হবে না। কোনো কেন্দ্রে টিকার প্রয়োজন হলে সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কিছু কেন্দ্রে সকালের দিকে সাময়িক অসুবিধা হয়েছিল। এখন ঠিক হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টার ও এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ও লালদিঘীর পাড়ের অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করতে থাকে টিকা প্রত্যাশীরা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। এসময় মানুষকে গাদাগাদি করে মাস্ক ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া জিইসি মোড়ের টিকা কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরে শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম।
মোহাম্মদ আসলাম নামের একজন বলেন, জিইসি কেন্দ্রে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা দিয়েছি। টিকা কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ে শুরু না হওয়ায় সময় কিছুটা বেশি লেগেছে।
চট্টগ্রাম এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি স্কুল কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা জেসমিন সুলতানা বলেন, এতদিন টিকা নেইনি। আজকের পরে আর প্রথম ডোজের টিকা দেবে না শুনে টিকা নিতে এসেছি। কিন্তু অনেকের মুখেই মাস্ক দেখিনি। লম্বা লাইন টিকা পাবো কি না বুঝতেছি না।
শেরশাহ কলোনী ডা. মাজহারুল হক হাই স্কুল কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, টিকা নিতে এসে রোদে দাঁড়িয়ে আছি এক ঘণ্টা ধরে। টিকা পাবো কি না বুঝতেছি না। অনেক লম্বা লাইন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গণটিকা কর্মসূচীর আওতায় আজকে চট্টগ্রামে ৪ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
এদিকে গণটিকা কার্যক্রম পরিদর্শনের অংশ হিসেবে নগরের লালদিঘীর পাড় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত সচিব (বাজেট অনুবিভাগ) রাশেদা আক্তার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী।
সংলাপ/২৬/০২/০০৩/আজমল