ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোনো বিভাগেই ভালো করতে পারল না বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারল স্বাগতিকরা। যদিও প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বেলা ১১টায় ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। যেখানে ব্যাটিং ধসে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ ৪৬.৫ ওভারে ১৯২ রানে থামে। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ও ৫৯ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানরা।
১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানরা উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভীত গড়ে দেয়। ১৫.৩ ওভারে ৭৯ রান যোগ করে দলটির ওপেনাররা। অবশেষে রিয়াজ হাসানকে আউট করে স্বাগতিকদের ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ৪৯ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৫ রান করেন রিয়াজ।
রহমত শাহ ৪৭ করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফেরেন। হাসমতউল্লাহ শহীদিকে ফেরান মিরাজ। তবে বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ে জীবন পেয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়ে মা্ঠ ছাড়েন রহমতউল্লাহ গুরবাজ। ১১০ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের হয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল এ ম্যাচেও ব্যর্থ হলেন। দলীয় ১১তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ১১ রানে ফজলহক ফারুকি তাকে সরাসরি বোল্ড করেন।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন দাশ, ২১তম ওভারে দলীয় শতকের দেখা পায় বাংলাদেশ। তবে পরের ওভারেই ব্যক্তিগত ৩০ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাই বলে বোল্ড হন সাকিব আল হাসান। ৩৬ বলে ৩টি চারে নিজের ইনিংস সাজান সাকিব।
তবে রশিদ খানের বলে উইকেট বিলিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় ২৭তম ওভারে ব্যক্তিগত ৭ রানে উইকেটের পেছনে রহমতউল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দেন তিনি। রশিদের পরের ওভারেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইয়াসির আলী।
সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ফিরলেন লিটন দাস। মোহাম্মদ নবির বলে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে থাকা গুলবাদীন নাইবের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ১১৩ বলে ৭টি চারে ৮৬ করেছেন লিটন।
শেষদিকে দ্রুতই ফিরে যান মেহেদি হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেনরা। মাহমুদউল্লা রিয়াদ ৫৩ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
আফগান বোলারদের মধ্যে রশিদ খান সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান। নবি ২টি উইকেট দখল করেন।