গাজীপুরে পোশাকশ্রমিক এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় মামলা করলে সোমবার অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে ওই নারীর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন আসামিরা। পরে ওই নারী বাবার কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আনালে তাঁকে ছেড়ে দেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। রোববার রাতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর পশ্চিম পানিশাইল এলাকায় একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী নারী কাশিমপুরে মামা-মামির সঙ্গে একটি ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। একই কারখানায় চাকরির সুবাদে মামলার আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে রাহাত (২২) নামের এক শ্রমিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে ওই নারীকে নতুন ভাড়া বাসা ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে আবু বক্কর সিদ্দিক গত রোববার রাত সোয়া সাতটার দিকে একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের কাছে নির্জন ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা চারজন ওই নারীর পথ রোধ করেন। পরে মোবারক হোসেন নামের এক যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেন। অপর চারজন মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ধর্ষণের পর মোবারক ও তাঁর সহযোগীরা ওই নারীর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। তখন বাধ্য হয়ে ওই নারী তাঁর বাবাকে ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে আসামিদের দেন। এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেবেন বলে হুমকি দিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে ওই স্থান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর পরদিন গতকাল সোমবার ওই নারী থানায় মামলা করলে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।