নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের পালিত হওয়া অর্ধদিবসের হরতালে ‘পুলিশি হামলায়’ গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা বাচ্চু ভুঁইয়াসহ ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সোমবার (২৮ মার্চ) বিকালে গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবুর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
হরতালে ‘পুলিশি হামলা ও নির্যাতন’র প্রতিবাদে আজ বেলা সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচিও ঘোষণা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের সমর্থনে চলছিল। এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সমাবেশ চলাকালীন সময়ে বিনা উসকানিতে পুলিশ হঠাৎ জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে থাকে। এতে গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া গুরুতর আহত হন। এছাড়াও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা মিজানুর রহমান মোল্লা, নিজাম হোসেন, চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব ফরহাদ জামান জনি, নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতা জাহাঙ্গীর আলম বাবু, মেহেদী হাসান, রংপুর জেলার সদস্য প্রত্যয়ী মিজানসহ আরও অনেকে আহত হন।
এতে আরও বলা হয়, বাচ্চু ভূইয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেন, তার ক্ষতস্থানে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খুলনা জেলার আহ্বায়ক মনির চৌধুরী সোহেলসহ আঞ্চলিক নেতাদেরকে গ্রেপ্তার এবং ফেনীতে নেতাদের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জেনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার দেশে ভয়াবহ লুটপাট ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করার আকাঙ্ক্ষা এবং সামর্থ্য এদের নেই। বরং জনগণের সঙ্গে তারা নিয়মিত তামাশা করছে। এখানে সরকার ও সিন্ডিকেট কার্যত এক সূত্রে গাথা।
তিনি আরও বলেন, মধ্যরাতের ভোট ডাকাত এই সরকার জনগণের তোয়াক্কা করে না, ভোটের তোয়াক্কা করে না সেজন্য সরকারের কোনকিছুতেই কোনকিছু যায় আসেনা। সরকার-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে কাজে লাগাচ্ছে। হরতালের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উসকানিতে পুলিশের হামলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয় বরং সন্ত্রাসীবাহিনীর কার্যকলাপের সঙ্গে তুল্য।