বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

খালের সীমানা নির্ধারণ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৩:০১ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৩:০১ অপরাহ্ণ
খালের সীমানা নির্ধারণ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কাজ শুরু করেছে খালের সীমানা নির্ধারণের। খনন করা হয়েছে ৪২ স্পট। বুধবার গাবতলীর রিটেনশন পন্ড এলাকায় খালের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএনসিসি। সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের (খাল ও ড্রেনেজ) দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়েছে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এরপর থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল উদ্ধার করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে কাজ করছে ডিএনসিসি।

আসন্ন বর্ষার আগে খালের পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে আজ থেকে সীমানা পিলার নির্মাণ করার কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি। ড্রোনের সাহায্যে সিএস জরিপ ও আরএস জরিপ ধরে খালের সীমানা পিলারের স্থান নির্ধারণ করা হবে। এরপর সেসব স্থানে বসানো হবে স্থায়ী পিলার। সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে ডিএনসিসি। এতে করে খালের পানি প্রবাহ ফিরে আসবে। ফলে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই কমে যাবে। কাজটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ। সম্প্রতি মোহম্মাদপুরের বসিলায় লাউতলা খালের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এই খাল খননের কাজ করে ডিএনসিসি।

খাল খনন কার্যক্রম বিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরীকে জলজট ও জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত করতে হলে খালগুলো উদ্ধার করতেই হবে। খালগুলোর পানি প্রবাহের সৃষ্টি ও নগরীর প্রত্যেকটি খালই মানচিত্র অনুযায়ী উদ্ধার করা হব। যারা অবৈধভাবে খালের জায়গা দখল বা খাল ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে স্বেচ্ছায় অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় বিনা নোটিশেই অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট