
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি করা হয়। সমাবেশে বিএনপি নেতারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিও জানান।
সমাবেশ শেষে সংগঠনের নেতারা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে কয়েক হাজার প্রবাসীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারক লিপি প্রদান করে। এতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদের পরিচালনায় এতে যুক্তরাজ্য বিএনপি, জোনাল কমিটি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করেন এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি করেন।
এসময় বিএনপি নেতারা বলেন, মানবিক কারণে হলেও খালেদা জিয়াকে যেন বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়। তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। এছাড়াও তারেক রহমানের ওপর থেকে সব মামলা প্রত্যাহার, দেশে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতির কথা উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের দুর্নীতি, ডাকাতি, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অত্যাচার নির্যাতনে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশে-বিদেশে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে এম এ মালিক বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ গুরুতর অসুস্থ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নিশিরাতের স্বৈরাচারী সরকার অন্যায়ভাবে তাকে কারাবন্দি করে উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করছে।
তিনি বলেন, সরকারি দলের লোক হলে চিকিৎসা সেবা পাবেন, প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশ থেকে চার্টার বিমানে করে চিকিৎসক হাজির করবেন। কিন্তু বিরোধী দলের লোক হলে ন্যুনতম চিকিৎসা পাবেন না। এই দ্বৈতনীতি দেশে চালু করেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী বাকশালী সরকার।