বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সাংবাদিক নেতারা (একাংশ)। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি রাখে ‘আল্লাহ মারে কে’ -তে বিশ্বাস করেন তাহলে ৪০ বছর পর কেন আপনার বাবার হত্যার বিচার করলেন। আপনার ক্ষেত্রে এক বক্তব্য আর অন্যদের ক্ষেত্রে অন্য বক্তব্য সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া সাংবাদিক সমাজের জন্য একটা সুদিন। তিনি সব ক্ষেত্রেই সাংবাদিকদের অবদান নিয়ে কথা বলেছেন। সাংবাদিক সমাজ তাই সব সময় তার সঙ্গে ছিল আর এখনও থাকবে। সরকার তার কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না। আর এটা হচ্ছে তার একজনের প্রতিহিংসার কারণে। উচ্চ আদালতের জামিন না দেওয়ায় আজ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে খালেদা জিয়া।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, ‘খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছেন। বর্তমানে দেশে তার আর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। সারা দেশের মানুষ তার চিকিৎসা চায়। অথচ দশজন অবৈধ মন্ত্রী তার চিকিৎসা নিয়ে নানা কটূক্তি করছে। এদেশের মানুষের জন্য খালেদা জিয়া সারাজীবন আন্দোলন করেছেন, করে যাচ্ছেন। কিন্তু এ সরকার এখন তাকে চিকিৎসা না দিয়ে হত্যার দিকে তিলে তিলে নিয়ে যাচ্ছে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি কাদের গণি চৌধরী বলেন, ‘সুস্পষ্টভাবে আজকের এ মানববন্ধন থেকে বলতে চাই, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয় এর দায়-দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী আপনাকেই নিতে হবে।’