অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। কাউন্সিলর এবং চ্যান্সারি প্রধান জানান, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পর হাইকমিশনের চ্যান্সারি ভবনের (স্থায়ী কার্যালয়) নকশা চূড়ান্ত করা হবে এবং সেই অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় বিধিনিষেধ অনুসরণ করে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
সম্প্রতি কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ হোসেন সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে জানান, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়া সরকারের জমিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু আজ অবধি সেখানে তোলা হয়নি বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিজস্ব ভবন। পুরো জায়গাটি সংরক্ষণের অভাবে আগাছায় ভরে আছে।
এ ব্যাপারে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য জানতে চাইলে কাউন্সিলর এবং চ্যান্সারি প্রধান বলেন, বাংলাদেশ সরকার সর্ব প্রথম ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের জন্য ৭৯৬০ বর্গ মিটার আয়তনের একটি জমি অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৯৯ বছরের জন্য বরাদ্দ নেয়। পরে ২০০৪ সালে তৎকালীন সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির আলোকে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই জমিটি অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষকে ফেরত দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, তারপর ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই একই জমি পুনরায় বরাদ্দ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০০০ বর্গমিটার জায়গা অন্য দূতাবাসের কাছে বরাদ্দ দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ৪৯৬৫ বর্গমিটার জমি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব বলে জানানো হয়। এরপর বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ পূর্বক ২০১৫ সালে ৪৯৬৫ বর্গমিটার জমি পুনরায় বরাদ্দ নেয়। পরে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত দুটি সরকারি প্রতিনিধি দল ক্রয়কৃত জমি এবং ক্যানবেরায় অবস্থিত অন্যান্য দূতাবাসগুলো পরিদর্শন করে বাংলাদেশের নিজস্ব জমিতে হাইকমিশনের চ্যান্সারি ভবন (স্থায়ী কার্যালয়) নির্মাণের প্রস্তাব চূড়ান্ত করে।
এরপর ২০২১ সালের জুলাই মাসে এই জমিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক কর্তৃক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী হাইকমিশন কর্তৃক এই প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের নিমিত্তে গত ২ অক্টোবর ২০২১ তারিখে Express of Interest এর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। দাখিলকৃত Express of Interest সমূহ বর্তমানে মূল্যায়নের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে।
কবে নাগাদ ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পন্ন হবে এই প্রশ্নের জবাবে চ্যান্সারি প্রধান জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পটি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সমাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংলাপ-২২/০৩/০০৭/আ/আ