বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০

কূটনীতিকদের সম্মানে প্রীতিভোজ লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২২ | ৭:২২ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২২ | ৭:২২ অপরাহ্ণ
কূটনীতিকদের সম্মানে প্রীতিভোজ লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে সংবর্ধনা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করেছে লেবাননে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান দূতাবাসের পক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

শনিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানী বৈরুতের হোটেল লেনচাস্টার ইডেন বের হলরুমে এ সংবর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এসময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর অতিথিদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটির অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী আমিন সালাম। সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ-লেবানন পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সভাপতি ইয়াসীন জাবের, সংসদ সদস্য সামি ফাতফাত, পররাষ্ট্র ও অভিবাসী মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল প্রধান আবির আলী ও বৈরুতের গভর্ণর বিচারক মারোয়ান আব্বুদ বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূতের প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তৃতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল সাফি।

লেবাননের অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী আমিন সালাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছো জানান ও ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

২০০৬ সাল থেকে লেবাননে জলসীমায় জাতিসংঘের শান্তি মিশন ইউনিফিলে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এ সহায়তা লেবাননের সরকার ও জনগণ কৃতজ্ঞতা এবং গর্বের সঙ্গে স্মরণ করে। বিনিয়োগের জন্য নতুন সেক্টর খুঁজছে লেবানন। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ হতে পারে উপযুক্ত গন্তব্য। কারণ ওষুধ, বিদ্যুৎ ও কৃষিখাতে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মত্যাগী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতি ও বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত। বিদেশি ব্যবসায়িদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ইকোনমিক জোন তৈরিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাগুলো ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনায় সরকারের সার্থকতাও তুলে ধরেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও লেবানন দুইটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ ও আমাদের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় লেবাননের সরকার ও জনগণের সমর্থন এবং স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লেবাননের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জার্মানসহ প্রায় ৩৫টি দেশের কূটনীতিক, ইউনিফিলের ফোর্স কমান্ডার ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিনিধিদলসহ প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি।

সংলাপ-২৯/০৩/০০৮/আ/আ

সম্পর্কিত পোস্ট