কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় আলোচিত যুবক ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম (ক্রাইম অ্যান্ড অ্যাডমিন) জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ঘোরাঘুরির সময় ইকবাল নামে ওই যুবককে আমরা সৈকত এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছি।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। দলটি কক্সবাজার পৌঁছালে এই যুবককে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, কক্সবাজারে ইকবাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা প্রধান সন্দেহভাজন ইকবাল কি-না, তা যাছাই করে দেখবেন তারা।
ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে কুরআন রেখে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টির পেছনের ঘটনা জানা যাবে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত ১৩ অক্টোবর ভোরে দুর্গাপূজার মধ্যে নানুয়া দীঘির পাড়ে দর্পন সংঘের পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন রাখা দেখে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। হামলা, ভাংচুর চালানো হয় অন্তত আটটি মন্দিরে।
এর মধ্যে কুমিল্লা পুলিশ বুধবার নানুয়া দীঘির পাড়ের দুটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণ করে ইকবাল নামে ওই যুবককে শনাক্তের কথা জানায়।
একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে এক যুবককে রাত ২টার পর স্থানীয় দারোগাবাড়ী শাহ আব্দুল্লাহ গাজীপুরী (রহ.) এর মাজার থেকে বেরিয়ে পূজামণ্ডপের দিকে যেতে দেখা যায়, তখন তার হাতে বই জাতীয় কিছু ছিল। এরপর ৩টা ১২ মিনিটের দিকে তাকে পূজামণ্ডপের দিক থেকে ফিরে আসতে দেখা যায় আরেক ভিডিওতে, তখন তার হাতে ছিল একটি ‘গদা’।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়া দীঘির ওই পূজামণ্ডপে থাকা হনুমানের মূর্তির কোলে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন রাখা ছিল। তখন হনুমানের মূর্তির হাতে থাকা গদাটি পাওয়া যায়নি।