শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

কারওয়ান বাজারে জামায়াতের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | ৩:৪৬ অপরাহ্ণ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ | ৩:৪৬ অপরাহ্ণ
কারওয়ান বাজারে জামায়াতের বিক্ষোভ

গণআন্দোলনে ভীত ও গণঅভ্যুত্থান ঠেকাতেই জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

রোববার (২২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জামায়াত আমিরকে কারা নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশ এসব কথা বলেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর কাওরান বাজার থেকে শুরু করে আশপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাতিরঝিল মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মু. আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, কুতুব উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদী, ইউসুফ আলী মোল্লা ও ছাত্রনেতা সালাহউদ্দিন প্রমুখ।

ড. রেজাউল করিম বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য নতুন করে তামাশা ও ভাঁওতাবাজির নির্বাচন করার জন্য দিবাস্বপ্নে বিভোর। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তারা নতুন করে বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন শুরু করেছে।
স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও রাজপথে সভা-সভাবেশ প্রত্যেকের নাগরিক সাংবিধানিক অধিকার হলেও সরকার পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে জনগণকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। সরকার বিরোধী শিবিরকে নেতৃত্বশূন্য করে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই সরকার জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে।

তিনি অপরাজনীতি ও অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা পরিহার করে জামায়াত আমির, আল্লামা সাঈদী, মাওলানা শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কারারুদ্ধ সব আলেম, রাজনৈতিক নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সরকার পতন আতঙ্কে অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে নানা ধরনের গুজব, মিথ্যাচার, ছলচাতুরী ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিচ্ছে। তারা মিথ্যাচারকে জাতীয়করণ করার পর এখন বিদেশি কূটনীতিক ও মেহমানদের নামেও নিলর্জ্জ মিথ্যাচার শুরু করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট