সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১

কানাডায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপিত

প্রকাশ: ৮ মে ২০২২ | ২:২৪ অপরাহ্ণ আপডেট: ৮ মে ২০২২ | ২:৩৩ অপরাহ্ণ
কানাডায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপিত

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে কানাডার ক্যালগেরিতে প্রবাসী বাঙালিদের উদ্যোগে ‘আজ সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে সংগীত অনুষ্ঠান সাইমন ভ্যালী মিলনায়তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে রবি ঠাকুরের বিভিন্ন গানের সুরে ও বিচিত্র গানের বাণীতে বাঙালির আবহমান বাংলার কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় সত্তাকে তুলে ধরা হয়।

তুষারচ্ছন্ন কানাডার বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসের পাগলা হাওয়ার উন্মাদনায় প্রকৃতি যখন উন্মাতাল ঠিক তখনই কর্মময় জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা মেতে উঠেছিল আনন্দ উৎসবে। এই যেন এক মিলনমেলায় রূপ নিয়েছিল।

তীর্থ সাহা ও রিতা কর্মকার রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সুরের মূর্ছনায় প্রবাস জীবনে বাংলার রূপ, প্রকৃতি, ভালোবাসা ও নির্মল আনন্দের অবগাহনে ভিন্ন এক আমেজে প্রবাসীদের হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল আনন্দ জয়গানে।

যুগের পর যুগ কবিগুরুর গান, কবিতা ও সাহিত্য মানুষের মনে সাহস জুগিয়েছে, মনকে করেছে শান্ত। বাঙালি জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্য তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন তিনি।

কবিগুরুর সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা ও ভাবনা সবকিছুই সত্যিকারের বাঙালি হতে অনুপ্রেরণা দেয়। আর তাইতো প্রবাস জীবনে বাঙালিদের মাঝে রবীন্দ্র চর্চার এই আয়োজন।

লেখক, কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, কবিগুরুর অসাধারণ গান আমাদের জীবনবোধের অনুপ্রেরণা যোগায়। তার সব দার্শনিক চিন্তাসমৃদ্ধ প্রবন্ধ, সমাজ ও রাষ্ট্রনীতিসংক্রান্ত গভীর জীবনবাদী চিন্তা আমাদের ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এবং শিল্পী ও কলাকুশলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই অনুষ্ঠান যেন অব্যাহত থাকে।

সংগঠক সাইফুল ইসলাম রিপন বলেন, বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ ও তার বিশাল সাহিত্য কীর্তির জন্য তিনি আমাদের রক্তস্রোতে আজও মিশে আছেন। প্রবাসে এই ধরণের অনুষ্ঠান করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।

সংগঠক খায়ের খন্দকার রুবেল বলেন, আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় আমাদের এই অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

সংগীতশিল্পী তীর্থ সাহা বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘হে নূতন’ গানে চির নতুনের মধ্য দিয়ে নিজের পৃথিবীকে আগমনের শুভক্ষণকে ব্যক্ত করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনের এই শুভক্ষণে তার গান উপভোগ করার জন্য আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সংগীতশিল্পী রীতা কর্মকার বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের অস্তিত্বের সাথে মিশে রয়েছেন। তিনি বিশ্বের দরবারে বাঙালিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন।

অনুষ্ঠানের গ্র্যান্ড স্পন্সর বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ইকবাল রহমান বলেন, রবি ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীর মতো এমন প্রগতিশীল ও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পেরে ইকবাল রিয়েল এস্টেট গর্বিত।

কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেন, রবীন্দ্রনাথ চর্চার মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির সর্বোচ্চ বিকাশের পথ উম্মুক্ত হতে পারে বলে আশার করছেন তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট