রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

কৃষকের দূর্ভোগ

কচুরিপানার দখলে ফেনী নদী

প্রকাশ: ৩ মার্চ ২০২২ | ১:২৫ অপরাহ্ণ আপডেট: ৩ মার্চ ২০২২ | ৩:৫০ অপরাহ্ণ
কচুরিপানার দখলে ফেনী নদী

প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে কচুরিপানা দখল করে নেয় ফেনী নদীর মধ্যম মোবারক ঘোনা অংশ। তীর ঘেঁষে দাঁড়ালে যতদূর চোখ যায় কেবল কচুরিপানা নজর পড়ে। স্থানীয় কৃষকদের জন্য এ যেন বাড়তি অভিশাপ। অথচ চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার স্থানীয় কৃষকদের জন্য এই নদী বরাবরই আশীর্বাদ ও সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে। সেচের কাজে নদীর পানি ব্যবহার করেন তারা। কিন্তু এবার কৃষকরা জানালেন দূর্ভোগের কথা। প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার জুড়ে কুচরিপানার দখলে নদীটি। একারণে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ১০০ হেক্টর জমি অনাবাদি রেখে দিতে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেনী নদীর ধুম ইউনিয়নের মধ্যম মোবারক ঘোনার অংশ এখন কচুরিপানায় ভরা। যার পূর্বাংশেই রয়েছে প্রায় ১০০ হেক্টর জমি। যেখানে স্থানীয় কৃষকরা চাষাবাদ করেন। কিন্তু প্রতিবছরের মত এবার এই অংশটি কচুরিপানায় ভরে গেছে। এতে দূর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় শতাধিক কৃষক। বন্ধ রয়েছে কৃষি উৎপাদন।

কৃষকরা জানান, ফেনী নদীর এই অংশের পূর্ব পাশে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেন তারা। এজন্য নদী পারাপার হতে হয়। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে কচুরিপানা বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এসময় পারাপারে বিঘ্ন ঘটে। এতে করে শীতকালীন সবজি, গম, ভুট্টা, খেসারি, তরমুজসহ নানান ধরণের চাষাবাদ থেকে আগ্রাহ হারান এখানকার কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক মোস্তফা জানান, কেউ চাইলেও সহজে চাষাবাদ করতে পারে না। কারণ যখন কচুরিপানা থাকে তখন নদী পার হতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই অনেকে শুষ্ক মৌসুমে আবাদ বন্ধ করে দিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ভাসানী জানান, ওপাড়ে ফসলি জমির পাশাপাশি কিছু বসত ঘর ও খামার আছে। নদীর চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে এসব কচুরিপানার কারণে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসলাদি পশ্চিম পাশে পার করতে কষ্ট হয়ে যায়। দ্রুত এর সমাধান না হলে অনেকেই এসব কৃষি উৎপাদন বন্ধ করে দিবে।

৪নং ধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া সময়ের সংলাপকে বলেন, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে নদীতে কচুরিপানা হয়ে যায়, আবার বর্ষা আসলে চলে যায়। কৃষকদের এসব সমস্যার কথা কেউ জানায়নি। উপজেলা প্রশাসনের সাথে এই সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কথা বলবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার রঘু নাথ নাহা জানান, নদীর পূর্ব পাশে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়। কচুরিপানার কারণে ফসল আনতে কষ্ট হয়। যার ফলে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যায়। যাতায়াত সুবিধা হলে কৃষি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকেরা লাভবান হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান জানান, এটি ব্যয়বহুল প্রজেক্ট, যা উপজেলার উদ্যোগে করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে কৃষি অফিসারের সাথে কথা বলে একটি প্রজেক্ট দাঁড় করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করবো।

সংলাপ/০৩/০৩/০০২/ হাসান

সম্পর্কিত পোস্ট