
প্রবাসীর মেধাবী সন্তানরা মোটা অংকের টাকা পাচ্ছেন। বৃত্তির ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমান পাসে শিক্ষার্থী বছরে ৩১ হাজার ৫’শ টাকা এবং এইচএসসি/সমমান পাসে শিক্ষার্থী ৩৭ হাজার ৫’শ টাকা করে বৃত্তি পাবেন। গত ১৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষা বৃত্তির আবেদন শুরু হয়েছে যা চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত। খবর পূর্বকোণের।
২০২১ সালে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে প্রবাসী সন্তানদের যেসব শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অথবা ডিপ্লোমা (প্রথম সেমিস্টার) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মূলত তারাই এই আবেদনের যোগ্য হবেন। একই সাথে ২০২০ সালে এইচএসসি/সমমান ক্যাটাগরিতে বিশ্ববিদ্যালয়/ মেডিকেল (প্রথম সেমিস্টার/বর্ষে) অধ্যয়নরত তারাও আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে।
এসএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ গ্রেডে অথবা বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগে ৪.৭৫ গ্রেডে উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে প্রবাসী মৃত হলে তার সন্তানের পাসের গ্রেডে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের জিপিএ -৪ গ্রেডে শিক্ষার্থীরা আবেদনের যোগ্য হবেন।
অপরদিকে এইচএসসি কিংবা সমমান পরীক্ষার তুলনায় এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় পাসের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৮০ গ্রেডে অথবা বাণিজ্য ও মানবিকে ৪.৫০ গ্রেডে উত্তীর্ণ হলে তারা আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রবাসী মৃত হলে তার সন্তানের পাসের গ্রেডে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগে জিপিএ-৪ গ্রেডে উত্তীর্ণ হলে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন পাঠানোর ঠিকানা, পরিচালক (আইআরপি) ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, ৯ম তলা, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, রমনা, ঢাকা-১০০০।
শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর এবং তার মাতা/পিতার মোবাইল নম্বর অবশ্যই আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে।
জানা গেছে, এসএসসি কিংবা সমমান ক্যাটাগরিতে বৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দুই বছর প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা এবং ডিপ্লোমা শ্রেণিতে অধ্যয়নরতরা ৪ বছর মাসিক দুই হাজার টাকা এবং এইচএসসি/সমমান ক্যাটাগরিতে বিশ্ববিদ্যালয় (প্রথম সেমিস্টার/বর্ষে) অধ্যয়নরত ৪ বছর ও মেডিকেলের জন্য ৫ বছর মাসিক দুই হাজার ৫ শত টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করা হবে। তবে শিক্ষার্থীর সেশনজট বিবেচনায় আনা হবে না।
চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সাল থেকে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক প্রবাসী মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ কার্যক্রমে প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের মধ্যে যারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, ও এইচএসসি কিংবা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ এবং বাণির্জ ও মানবিকে জিপিএ-৪.৭৫ প্রাপ্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত তারা এই বৃত্তির আওতায় আসে। তবে প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী কর্মীর সন্তানগণ জিপিএ-৪ প্রাপ্ত হলে আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে পিইসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী বছরে ১৪ হাজার টাকা করে তিন বছর, জেএসসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী ২০ হাজার ৫০০ টাকা করে দুই বছর, এসএসসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী সাড়ে ৩১ হাজার টাকা করে দুই বছর এবং এইচএসসি পাস মেধাবী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করলে বছরে সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা করে ৪ বছর এবং মেডিকেলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী একই পরিমাণে টাকা ৫ বছর ধরে বৃত্তি পাবে। শিক্ষার্থীর আবেদনরে পর চেকের মাধ্যমে এ বৃত্তি প্রদান করা হয়।
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম বলেন, প্রবাসীর মেধাবী সন্তানের আবেদনের পর যা যাচাই-বাচাই করে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড শিক্ষা বৃত্তির এ টাকা প্রদান করে থাকে। এবার ২০২১ সালে এসএসসি ও সমমান এবং ২০২০ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উর্ত্তীণরা আবেদন করতে পারবে।