করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ধরন ওমিক্রন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও এ ধরণ শনাক্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২১টি নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (অপারেশনস্-২) মোহাম্মদ উল্ল্যার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১। পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে ডিউটি পালনের সময় অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভস, হেডকভার, ফেসশিল্ড পরতে হবে।
২। ডিউটি পালনকালে কিছু সময় পরপর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত ডিউটি শেষে সাবান/হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৩। কোভিড-১৯ (ওমিক্রন) উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোডিড-১৯ টিকা নিতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ কর্তৃক অধীন পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যদের টিকা নেওয়া নিশ্চিত করা।
৫। পুলিশের সব ইউনিটে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এবং ’নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নির্দেশনা প্রতিপালন করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবস্থা রাখা।
৬। ডিউটিরত সব ক্ষেত্রে শারীরিক দুরত্ব (কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার), হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
৭। সেবা গ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাত ধোয়া/স্যানিটাইজ নিশ্চিত করা।
৮। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৯। অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ইত্যাদি যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করা।
১০। ডিউটি শেষে আবাসস্থলে প্রবেশের পূর্বে ইউনিফর্ম ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করা।
১১। ডাইনিং রুম, ক্যান্টিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাওয়ার আগে ও ডিউটি থেকে ফেরার পর, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা।
১২। কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন বা এসেছেন, এমন পুলিশ সদস্যদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
১৩। কোভিড-১৯ পজেটিভ সদস্যদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয়/বিভাগীয়/জেলা পুলিশ দাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
১৪। জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ কর্তৃক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।
১৫। ইউনিট ইনচার্জ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিজ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং সার্বিক সহায়তা দেওয়া।
১৬। হাজতখানা সর্বদা জীবাণুমুক্ত রাখা এবং হাজতে থাকাকালীন কোমো ব্যক্তির কোভিড-১৯ এর লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে তাকে পৃথক করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
১৭। রেশন সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব নিশ্চিত করা।
১৮। কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রণীত এসওপির নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ এবং রোল কলে সচেতনতামূলক ব্রিফিং দেওয়া।
১৯। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ইতোপূর্বে পাঠানো নির্দেশনা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে প্রতিপালন করা।
২০। প্রত্যেক পুলিশ ইউনিটে কর্মরত সব সদস্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সাথে সমন্বয়পূর্বক কোভিড-১৯ (বুস্টার ডোজ) ভ্যাকসিন গ্রহণে নিশ্চিত করতে হবে।
২১। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বিধায় সকল পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
আদেশটি অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।