চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনের বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম ইউসুফের বাড়িতে চায়ের দাওয়াতে গেলে এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের উপর হামলা করতে তেড়ে আসেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নয়দুয়ারিয়া এলাকায় ইউসুফ কুঠিরে এ ঘটনা ঘটে। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে প্রাথমিক মনোনয়নপত্র পেয়েছিলেন ইউসুফ। আগামী নির্বাচনেও তিনি এমপি পদপ্রত্যার্শী।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ইউসুফকে ঠেকাতে বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে ইউসুফ কুঠিরে হামলার চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ইউসুফকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করছেন বলেও মনে করছেন অনেকে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, মনিরুল ইসলাম ইউসুফ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। তার চায়ের দাওয়াত রক্ষা করতে জেলা-উপজেলার আরও কয়েকজন নেতাসহ তিনি গিয়েছিলেন। তবে মিরসরাই বিএনপির নেতাদের রেষা-রেষির জেরে সেখানে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের পক্ষের কিছু নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। অবরুদ্ধ করার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনের নেতা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মুনিরুল ইসলাম ইউসুফ বলেন, ‘বিএনপির দু’র্দিনে বিগত ১০ বছর দলীয় কর্মকান্ড করে আসছি। গতকালের ঘটনা আমি দলের হাই কমান্ডকে জানিয়েছি। দলই ঠিক করবে, এটার পরবর্তী ফলাফল কী হবে।’
প্রসঙ্গত, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীণ উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাক্ষরিত এক বিবৃত্তিতে বিএনপি থেকে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান বহিষ্কার হয়েছিল। ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে মনিরুল ইসলাম ইউসুফের নেতেৃত্বে মিছিলে হামলা চালায় নুরুল আমিন চেয়ারম্যান। ঘটনায় নুরুল আমিন চেয়ারম্যানকে বহিষ্কারের জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে নির্দেশ দেন।