চট্টগ্রামের সব সরকারি অফিস হবে একই ছাদের নিচে । নগরীর চান্দগাঁও হামিদচর এলাকার কর্ণফুলী নদী ঘেঁষা মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন ৭৬ একর জমির উপর সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তৈরি করা হচ্ছে ডিজাইন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অনুমোদনের জন্য এই ডিজাইন পাঠানো হবে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে।
ভবিষ্যতের প্রয়োজন মেটাতে আরো ৩৬ একর জায়গা চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
সমন্বিত ভবন নির্মাণে চার বছর সময় লাগতে পারে। আর চার বছর পরই চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব সরকারি অফিসই সমন্বিত ভবনে একই ছাদের নিচে কার্যক্রম শুরু করবে।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান উপরোক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ৩৩টি সরকারি অফিস আছে, যেগুলো জরাজীর্ণ। এছাড়া সরকারি অফিসগুলো নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত। এতে বিভিন্ন অফিসের কার্যক্রম সমাধা করতে মানুষকে নানা ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। এই অবস্থার অবসান ঘটিয়ে মানুষের ভোগান্তি হ্রাস এবং সময় বাঁচাতে সব সরকারি অফিস একই ছাদের নিচে নিয়ে আসার একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে এই সমন্বিত অফিস নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের নের্তৃত্বে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। তৈরি হচ্ছে ডিজাইন। উক্ত ডিজাইন আগামী দিন কয়েকের মধ্যে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। নকশা অনুমোদনের পরপরই ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে। সমন্বিত সরকারী অফিস ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে পরীর পাহাড় থেকে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ অন্যান্য সকল সরকারী অফিস সেখানে স্থানান্তর হবে। একই ছাতার নিচে মিলবে সকল সরকারী সেবা। অফিসগুলো হবে পরিবেশসম্মত ও সেবা উপযোগী।