অত্যাধুনিক ও উচ্চগতির এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, আজ (২২ মার্চ) সকাল ১০টায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শুরু হয়েছে।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত আছেন।
সভায় ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে অক্টোবর ২০২১ সাল থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা (রূপপুর), ঢাকা এবং বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অত্যাধুনিক ও উচ্চগতির ডেডিকেটেড এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অফ সাইট ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় আধুনিক টেলিফোন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া, জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তা বিষয়ক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ৩৭০ কিলোমিটার রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ, আট বছরের অগ্রিম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, অপটিক্যাল ফাইবার লিজ (রেলওয়ে, পিজিসিবি, বিটিসিএল, স্যাটেলাইট চ্যানেল লিজ) সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, স্থানীয় ও বৈদেশিক পরামর্শক সেবা ক্রয়, টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম ক্রয়, বৈদেশিক ও স্থানীয় প্রশিক্ষণ এবং ৮টি মোটরযান ভাড়া ও ৩টি মোটরযান ক্রয় করা।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম বলেন, প্রকল্পটি মূল প্রকল্পের সহযোগী প্রকল্প হিসেবে দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। যার মাধ্যমে রূপপুরের সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর নিরবিচ্ছন্ন যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে সক্ষমতা বাড়াতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পের প্রয়োজনীয় টেলিযোগাযোগ সুবিধা প্রদান এবং আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। যা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সংগতিপূর্ণ। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।