উইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড দুই দলের জন্যই ম্যাচটা ছিল বাঁচা-মরার। দল দুটির সামর্থ্যের স্পষ্ট ব্যবধানের কারণে ক্রিকেটবোদ্ধাসহ সাধারণ দর্শকেরও বাজি ছিল উইন্ডিজের দিকে। অথচ দ্বিতীয় সারির দলটির কাছেই গো-হারা হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি ব্যাটাররা। আইরিশ বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৬ রান। এই মামুলি টার্গেট আয়ারল্যান্ড টপকে যায় ৯ উইকেট ও ১৫ বল হাতে রেখেই।
শুরু থেকেই ক্যারিবীয় ব্যাটারদের চেপে ধরে আইরিশরা। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪১ রান। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে উল্টো পথে ছিলেন কেবল ব্রেন্ডন কিং। খেলেছেন ৪৮ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস।
২৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কায়াল মায়ার্স ১ আর জনসন চার্লস ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর এভিন লুইস করেন ধীরগতির ১৩ রান।
ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। ১১ বল খেলে ১৩ রান করেন তিনি। এরপর রভম্যান পাওয়েল ৬ রান করে ফিরলে ১১২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ক্যারিবীয়রা। এ সময় বুক চিতিয়ে লড়াই করেন কিং।
৪৮ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। এ ছাড়া ১২ বলে হার না মানা ১৯ করেন ওডিয়েন স্মিথ।
টার্গেট ছোট হলেও শুরুটা আক্রমণাত্মক করেন আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবার্নি আর পল স্টার্লিং। পাওয়ার প্লেতেই তারা তুলে ফেলেছিলেন ৬৪ রান। ম্যাচের ফলটা আসলে সেখানেই ঠিক হয়ে যায়।
পাওয়ার প্লের পর বিদায় নেন বালবার্নি। ৩টি করে ছক্কা আর চারে তিনি করেন ২৩ বলে ৩৭। অন্যপ্রান্তে পল স্টার্লিং তার স্বাভাবিক খেলাটাই ধরে রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লরকান টাকার ৩৫ বলে ৪৫ রান করে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন তাকে। শেষমেশ ৯ উইকেটের জয়টাও তুলে নেয় দলটি।
তাতেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজের, আয়ারল্যান্ড চলে যায় সুপার টুয়েলভে।