বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দুবাইয়ে বক্তারা

‘ইসলামের মূলধারার উপর সুন্নিয়ত চায় ইসলামী ফ্রন্ট’

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২২ | ৪:১১ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২২ | ৫:৩৩ অপরাহ্ণ
‘ইসলামের মূলধারার উপর সুন্নিয়ত চায় ইসলামী ফ্রন্ট’

দেশের কোন ইসলামী রাজনৈতিক দল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সিনিয়র মহাসচিব মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ। তিনি বলেছেন, ‌‘একমাত্র ইসলামী ফ্রন্ট, যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। আমরা মুক্তিযুদ্ধও চাই, ইসলামের মূলধারার উপর সুন্নিয়তও চাই। মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে দেশে বসবাস করার যেমন সুযোগ নাই, ইসলামের মূলধারা পরিত্যাগ করে নিজের দ্বীন ইমান সঠিক রাখার সুযোগ নাই।’

ইসলামী ফ্রন্টের এই নেতার আমিরাত সফর উপলক্ষে দুবাইয়ের একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মোসলেমিন সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় পরিষদ। সংগঠনের চেয়ারম্যান হাফেজ মুহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আবদুস সামাদ৷

প্রবাসীরা নানান ভাবে ভোগান্তির শিকার। অথচ সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নির্বিকার দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু তারা কোন কল্যাণ করতে পারে না। প্রবাসীরা বিদেশ গমণ থেকে শুরু করে কর্মস্থল, এমনকি নিজ দেশে ফিরতেও নানান জটিলতা আর বিড়ম্বনার শিকার হন। এই দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।’

রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রণোদনার পরিমাণ পাঁচ শতাংশ করার দাবি জানিয়ে ইসলামী ফ্রন্টের সিনিয়র মহাসচিব বলেন, ‘সরকার একটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। সঠিক মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণ করলে গত বছর পর্যন্ত দুই শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হতো। এখন সেটা আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। আমরা দাবি করবো সঠিক মাধ্যমে যারা টাকা প্রেরণ করে তাদের প্রণোদনা বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করে দেয় এটাই আমাদের দাবি।’

প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের অর্থ সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখি মধ্যপ্রাচ্যে একজন বাংলাদেশী বিনিয়োগকারী যে ব্যবসা ও স্থাপনা গড়ে তোলেন এক নিমিষেই তা তার কফিল (মালিক) বিক্রি করে দেন। আর সেই ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে যান। এ ব্যাপারে ভারত পাকিস্তানের দূতাবাসগুলো যে ভূমিকা রাখে বাংলাদেশ দূতাবাস সেই ভূমিকা রাখে না। এছাড়া করোনাকালে অনেক প্রবাসী বিপদগ্রস্ত হয়েছেন। একটি বিএমইটি কার্ড করার জন্য পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা নেয় একজন প্রবাসীর কাছ থেকে। এই খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা জমা আছে। কোন কারণে একজন প্রবাসী বিপদগ্রস্ত হলে সেই কল্যাণ ফান্ড থেকে একটা ব্যবস্থা করে তারজন্য আপনারা (প্রবাসীরা) আন্দোলন করবেন, আমরাও সহযোগিতা করবো।’

আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হাফেজ মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন খানের পরিচালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাবেক চেয়ারম্যান ও নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ নুরুল আমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মজলিশে শুরা সদস্য ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা ফজলুল কবির চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের শুরা সদস্য মুহাম্মদ ফারুক বাহাদুর, চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি সমিতির হাট ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ ইমন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য স ম হারুনুর রশীদ, মাওলানা মোহাম্মদ তৈয়ব সিরাজি, আলহাজ্ব মোহাম্মদ হারুন, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ শফি, হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল আজিজ, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, মাওলানা মাহবুবুর রহমান হাবিবী, মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, সফর বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ নুরুল আলম। শাখা প্রতিনিধিদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক (দুবাই) মুহাম্মদ ফোরকানুল করিম, সহ সভাপতি (আল আইন) মাওলানা নুরুল আমিন, সভাপতি (শারজাহ) মোহাম্মদ দিদারুল আলম, সভাপতি (আল আবির) দোস্ত মুহাম্মদ বাবুল, সভাপতি (রাস আল খাইমাহ) মোহাম্মদ রফিকুল আলম দুলাল, সভাপতি (মোসাফফাহ) মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন সিকদার, সভাপতি (আবুধাবি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট