প্রায় ৯৫ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে শঙ্কিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে ইভিএমগুলো রাখার জায়গাসহ অবকাঠামো নেই।
গত মাসে ইভিএম প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কর্নেল মো. কামাল উদ্দিন জানিয়েছিলেন ইভিএম সংরক্ষণে জায়গা ও অবকাঠামো ভাড়া করা একান্ত প্রয়োজন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ি-গোডাউন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইসি।
ইসি’র সিনিয়র সহকারী সচিব (সেবা-২) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন ৬৪টি জেলা নির্বাচন অফিসে ইভিএম সংরক্ষণে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস/সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস/জেলা নির্বাচন অফিস সংলগ্ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ভাড়ার হারে তিন বছরের চুক্তিতে বাড়ি/গোডাউন ভাড়ার জন্য বাড়ির মালিকদের থেকে সীমোহরকৃত খামে দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে।
এর আগে, নির্বাচন কমিশন সচিব সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে মাসিক সভায় ইভিএম সংরক্ষণের জন্য বলে পিডি। পিডি’র কথার ধারাবাহিকতায় ইসির যুগ্মসচিব (অর্থ ও প্রশাসন) বলেন, ইভিএম সংরক্ষণে জায়গাসহ অবকাঠামো/ফ্লাট/বাড়ি, ইভিএম ধারণ ক্ষমতা, ভাড়ার পরিমাণ ইত্যাদি সংক্রান্ত সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবগুলো এক করে কমিশন বরাবর নথি উপস্থাপন করা হয়েছিল। নথিতে কমিশনাররা কিছু অবজারভেশনসহ টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশ দেন। বিদায়ী কমিশনের সময় স্বল্পতার জন্য পরবর্তীতে নথি উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
ওই মাসিক সভায় বরিশাল অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, ইভিএমগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তারা ইভিএমগুলো ফেরত নেয়ার জন্য বার বার তাগিদ দিচ্ছে।