নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ইভিএম কোনো চুরি নয়, এটি ডাকাতি। সব দলের সিদ্ধান্তই সঠিক, এই ইভিএমে কোনো নির্বাচনে যেন কেউ অংশ না নেয়। ইভিএম ডিজিটাল ডাকাতির বাক্স। তিনি বলেন, আমার কর্মীদের বিনা অপরাধে জেলে নেওয়া হয়েছে। তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে কারাগারে নিয়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হোক।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) জেলা কারাগারের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তৈমূর। এ সময় তিনি কারাগারের বাইরে থাকা কারাবন্দিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের জামিনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন এবং প্রত্যককে কারাগারে টাকা প্রদান করেন।
তৈমূর বলেন, আমি আজ এখানে এসে জানতে পারলাম আমার আরেক কর্মী প্রচারণার মিছিল শেষ করে বাড়ি ফিরে গ্রেফতার হয়েছিল। তার পরিবারকে মুখ না খুলতে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছিল। এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এসপি নৌকার প্রধান এজেন্ট হয়ে কাজ করেছে। সে আমার প্রতিটি কর্মীর বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করেছে, আমার বাড়ির কর্মচারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সে নির্বাচনে এমনভাবে কাজ করেছে, এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে সে নির্দেশিত হয়ে প্রার্থীর এজেন্টের মতো কাজ করেছে।
তিনি বলেন, আমার নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমি সরকারকে বলতে চাই, আমাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক এবং আমার কর্মী ও কর্মচারীদের মুক্তি দিক। তারা তো কোনো অপরাধ করেনি, শুধু নির্বাচনের কাজ করেছে। অন্যায় করেছেন আপনারা, ভোট ডাকাতি করেছেন আর প্রশাসনকে দিয়ে নির্বাচন করিয়েছেন। এই বিচারও এক দিন হবে এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে।