রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় আবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে তারা পুনরায় সড়ক অবরোধ করেন। এতে ইফতারের সময় কিছুক্ষণের জন্য শুরু হওয়া যান চলাচল আবার বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত নিউ মার্কেট এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। এরপর শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বর্তমানে তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
রাস্তায় আছেন নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও। তারা নিউ সুপার মার্কেট সংলগ্ন ফুট ওভার ব্রিজের নিচে অবস্থান নিয়ে আছেন। সেখানে কাছেই অবস্থান নিয়ে আছে পুলিশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিউ মার্কেট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা কলেজের সব হল বন্ধ ঘোষণা করে বিকেলের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। যদিও এ নির্দেশনা মানেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যার পরও ঢাকা কলেজের হলে শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ২৫ মিনিট থেকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থানরত ঢাকা পোস্টের ৫ জন প্রতিবেদকই জানিয়েছেন শেষবিকেল থেকে তারা সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। নিউ মার্কেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, নীলক্ষেত, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্সল্যাব মোড়ে হঠাৎ মোবাইলের থ্রি জি ও ফোর জি গতির ইন্টারনেট চলছে না। ডাটা অন করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। মোবাইলের ফ্রিকোয়েন্সি অনেকটাই দুর্বল পাওয়া যাচ্ছে। স্পষ্টভাবে ফোনে কথাও বলা যাচ্ছে না। তবে যাদের স্থানীয়ভাবে ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।
এরপর মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে আবারও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে তাদের ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। ছাত্রদের অনেকে হেলমেট পরে হাতে লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।