ফেনীর এক সময়ের আলোচিত নেতা, সাবেক সাংসদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল হাজারী পরলোকগমন করেছেন।
জয়নাল হাজারী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান।
তিনি বলেন, জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ফেনীর এক সময়ের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হিসেবে বিবেচিত জয়নাল হাজারী শেষ জীবনে রাজনীতিতে ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছিলেন। তবে কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া হয়েছিল তাকে।
গত এক যুগে ফেনী ছেড়ে ঢাকায় থেকে হাজারিকা প্রতিদিন নামে একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করে চলছিলেন তিনি।
১৯৪৫ সালে জন্ম নেওয়া জয়নাল হাজারী আজীবন আওয়ামী লীগেই যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দুই দশক ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
ওই সময়ে ফেনীতে জয়নাল হাজারী ‘ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছিলেন বলে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এমনকি দলের মধ্যে নিজের বিরোধীদের উপরও খড়গহস্ত ছিলেন হাজারী। তার নির্যাতন থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাননি।
বিএনপি বরাবরই জয়নাল হাজারীকে ‘সন্ত্রাসীদের গডফাদার’ বলত। তার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই’ হাজারীকে এভাবে চরিত্রায়ন করা হয়।