শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

আমিরাতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২২ | ৮:৫২ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৪ মে ২০২২ | ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
আমিরাতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হলেন শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। ৬১ বছর বয়সী এই নেতা আবুধাবির শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার। তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হস্তক্ষেপবাদী বৈদেশিক নীতির পেছনে চালিকাশক্তি হিসাবে দেখা হয়। শেখ মোহাম্মদ ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স ও ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার নিযুক্ত হন।

রাষ্ট্রপতি ঘোষণার পর আমিরাতের অন্যান্য প্রদেশের শাসকদের সাথে শেখ মোহাম্মদ (মাঝে)

শনিবার (১৪ মে) দেশটির সুপ্রিম কাউন্সিল শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। তিনি সদ্য প্রয়াত শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।    

শেখ মোহাম্মদ ১৯৬১ সালের ১১ মার্চ দেশটির আল আইনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশটির জাতির প্রতিষ্ঠাতা পিতা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের তৃতীয় পুত্র। তিনি তার বাবা ও মা শেখা ফাতিমা বিনতে মুবারকের সজাগ দৃষ্টিতে বড় হয়েছেন।

তার পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান বিন জায়েদ বিন খলিফা বিন শাখবুত বিন থেয়াব বিন ইসা বিন নাহিয়ান বিন ফালাহ বিন ইয়াস। শেখ মোহাম্মদ পারিবারিক জীবনে শেখ সালামা বিনতে হামদান আল নাহিয়ানকে বিয়ে করেন। তাদের চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে।

শেখ মোহাম্মদ ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত আল আইন ও আবুধাবির স্কুলে শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি মর্যাদাপূর্ণ রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্টে যোগদান করেন, যেখানে তিনি অস্ত্রবিদ্যা, উড়োজাহাজ চালানো, উড়ন কৌশল ও প্যারাশূটের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

১৯৭৯ সালে স্নাতক শেষ করে তিনি শারজাহ অফিসার্স ট্রেনিং কোর্সে যোগ দান করেন। এরপর তিনি সামরিক বাহিনীতে আমিরি গার্ড (ইউএই এলিট সিকিউরিটি ফোর্স) অফিসার এবং ইউএই অ্যায়ার ফোর্সে পাইলট থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ভূমিকা পালন করেছেন।

প্রয়াত শেখ জায়েদ ও প্রয়াত শেখ খলিফার নির্দেশে শেখ মোহাম্মদ কৌশলগত পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রচারের ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীকে বিকাশে সহায়তা করেছিলেন। শেখ মোহাম্মদের সরাসরি নির্দেশনা ও নেতৃত্ব সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীকে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে, যা অনেক আন্তর্জাতিক সামরিক সংস্থার দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।

শেখ মোহাম্মদ আবুধাবি শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে দেশটির শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি ও এগুলো সর্বোত্তম আন্তর্জাতিক মানের সমতুল্য করে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দেশটির সদ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শেখ মোহাম্মদ আবুধারির প্রকৃত শাসক ও আবুধাবিতে আগত বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাগত জানানোর দায়িত্ব নেন। এ ছাড়া আরব আমিরাতের নীতিনির্ধারণের প্রায় প্রতিটি দিক নিয়ন্ত্রণ করা ও আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে আবুধাবি প্রদেশের দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট