শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

আমানত হারাচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাড়ছে ঋণ

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:২২ অপরাহ্ণ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:২২ অপরাহ্ণ
আমানত হারাচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাড়ছে ঋণ

বিভিন্ন অনিয়ম-জালিয়াতির কারণে ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) ওপর আস্থা কমছে সাধারণ গ্রাহকদের। টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেকে। ফলে কমছে আমানতের পরিমাণ। তবে, আমানত কমলেও এ খাতে ঋণ বিতরণ থেমে নেই। যে কারণে তহবিল ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এনবিএফআইয়ের আমানত দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে আমানত কমেছে এক হাজার ২০৪ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, সেপ্টেম্বর শেষে এনবিএফআইয়ের ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৬ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে দুই হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।

খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণ জালিয়াতি এবং পরিচালকদের অর্থ লুটপাটের কারণে কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। যা এ খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এ কারণে নতুন করে আমানতকারীরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টাকা রাখতে আগ্রহ হারাচ্ছেন।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সবধরনের আমানতে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ৭ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। অন্যদিকে, ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদের সর্বোচ্চ কোনো সীমা রাখা হয়নি। আছে সর্বনিম্ন সীমা। ফলে সুদহার কমে যাওয়ায় এখানে টাকা কম রাখছেন গ্রাহকরা।

আমানত কমে যাওয়া ও ঋণ বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কোম্পানি (আইআইডিএফসি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়া বলেন, কয়েকটি কারণে এনবিএফআইয়ের আমানত কমছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সবধরনের আমানতে সুদহার সর্বোচ্চ সীমা ৭ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু ব্যাংকের ক্ষেত্রে এর কোনো সীমা নেই। এক বাজারে দ্বৈত নীতি চলছে। এখন ব্যাংকগুলো চাইলে বেশি সুদহার দিয়ে আমানত সংগ্রহ করতে পারছে। এর মানে আমানতকারীরা যেখানে বেশি লাভ পাবেন সেখানে চলে যাবেন। এটাই স্বাভাবিক।

ঋণ বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ খাতে ঋণ বিতরণের হার স্বাভাবিক নিয়মে বেড়েছে। অনেক বেড়েছে এমনটা নয়। সব যে নতুন ঋণ বিতরণ হয়েছে, তাও নয়। কারণ, আগের বিতরণ করা ঋণ আদায় না হলে সুদ-আসলসহ যোগ হয়। এখন ঋণ আদায় কম বলেই ঋণের পরিমাণ বেড়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট