
শান্তির জন্য বাজছে ঢোল এই শ্লোগানে ৯ম আন্তর্জাতিক ঢোল উৎসব ২৮ মে শেষ হয়েছে। শনিবার (২১ মে) রাজধানী কায়রোস্থ সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী দুর্গে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
৯ম আন্তর্জাতিক ঢোল ও ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শিল্পীদের কণ্ঠে ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান, মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম…’ উপস্থিত দর্শক দাঁড়িয়ে শিল্পীদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে।
বাংলাদেশ-মিশরের মধ্যকার সাংস্কৃতির ঢোল উৎসবে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগ ও সার্বিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক ঢোলবাদ্য উৎসবে অংশ নেন কায়রোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মোট ১০ জন শিল্পীর একটি দল।

অংশ নেওয়া শিল্পীরা হলেন- সোহেল, হাবিব, রেজাউল করিম, ফারুক হোসেন, সৈয়দা সানজিদা মুনা, এশা, ফারজানা, মোহাম্মদ ফেরদাউস, ফায়জুল ও দেলোয়ার।
এবার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, ফিলিস্তিন, সুদান, দক্ষিণ সুদান, মেক্সিকো, স্পেন, জর্ডান, ইয়েমেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনসহ ১৫টি দেশের ৪৩টি সাংস্কৃতিক দল যোগ দেয় সপ্তাহব্যাপী এই ঢোলবাদ্য উৎসবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এমন একটি আন্তর্জাতিক উৎসবে বাংলাদেশের লোকসংগীত, বাদ্যযন্ত্র ও পতাকা নিয়ে হাজারো দর্শকদের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি, এটাই আমাকে গর্বিত ও আনন্দিত করছে।

রাজধানী কায়রো ও দেশটির বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ সপ্তাহব্যাপী কায়রো আন্তর্জাতিক ঢোল উৎসবের অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করেন। এছাড়া সরাসরি সম্প্রচার করা হয় মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল।
প্রতি বছরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক ঢোল ও ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প উৎসব, যা ক্রমান্বয়ে মিশরের জন্য একটি জনপ্রিয় লোক-উৎসবে পরিণত হয়েছে।