
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আজও ওরসফেরত গাড়ির চাপ রয়েছে। এতে ঘাট প্রান্ত থেকে ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দূরপাল্লার বাস, পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের ওরসফেরত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকের অতিরিক্ত চাপ থাকায় এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (০২ মার্চ) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শত শত যানবাহন রাত থেকেই ফেরি পারের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে।
ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে নিয়মিত দূরপাল্লার বাসের সারি। এছাড়াও জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ছেড়ে গেছে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি।
এমনকি ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও ৩ কিলোমিটার অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। এসব পণ্যবাহী ট্রাক রাত থেকেই ফেরি পারের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় ও গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় সিরিয়ালে আটকে রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ট্রাকচালকরা।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কাছে আটকে থাকা ট্রাকচালক সুমন কুমার বলেন, গতকাল বিকেলে এসে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সিরিয়ালে আটকে রয়েছি। গোসল, খাওয়া-দাওয়া, টয়লেটের অনেক অসুবিধা হচ্ছে এবং খরচও বেড়ে যাচ্ছে। জাকের মঞ্জিলের ওরসফেরত গাড়ির চাপে এই ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা দিগন্ত পরিবহনের যাত্রী ইসরাত জাহান বলেন, তিনি গতকাল রাত ২টায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এসে আটকে রয়েছেন। রাত পেরিয়ে সকাল হলেও তিনি এখনও ফেরি পার হতে পারেননি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ওরসফেরত গাড়ির চাপ আজও রয়েছে। গতকাল ওরসফেরত গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করায় আজ পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। বিকেলের পর থেকে ওরসফেরত গাড়ির চাপ কমলে ঘাট এলাকা স্বাভাবিক হবে। বর্তমানে এই নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।
সংলাপ/০২/০৩/০০২/আ/হো