দুই বছর পর কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ছাড়া এবার স্বস্তিতে ঈদ করবে দেশবাসী। ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি কমাতে অনেকেই এবার আকাশপথকে বেছে নিচ্ছেন। আর তাই সড়ক ও রেলের মতো আকাশপথেও বেড়েছে বাড়িফেরা যাত্রীদের চাপ। বাড়তি এ চাপ সামলাতে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো।
এয়ারলাইন্সগুলো জানায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটের ৯০ ভাগ টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ ২৯ ও ৩০ এপ্রিল ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন। সবমিলিয়ে ২৭ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত চাপ থাকবে। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
এবার যশোর ও বরিশাল রুটে টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ফেরিঘাটে ঝামেলা এড়ানোর জন্য অনেকে এই রুটে আকাশপথকে বেছে নিচ্ছেন। এছাড়া যানজটের শঙ্কায় সৈয়দপুর ও রাজশাহীর মতো রুটেও আকাশপথ বেছে নিচ্ছেন যাত্রীরা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের চাহিদার ভিত্তিতে রাজশাহী রুটে ১টি এবং সৈয়দপুর রুটে দুটি ফ্লাইট বাড়িয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
নভোএয়ারও অভ্যন্তরীণ রুটে দৈনিক ২৬-২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। তারা ঈদকে কেন্দ্র করে দৈনিক অতিরিক্ত ৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এছাড়া সৈয়দপুর, বরিশাল, যশোরে দৈনিক একটি করে ফ্লাইট বাড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, ৩ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ঢাকা থেকে সিলেট ও কক্সবাজারের টিকিটের চাহিদা বেশি রয়েছে। অনেকে ঈদের পর পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাবেন। সেক্ষেত্রে চাহিদার ভিত্তিতে এই দুই রুটের ফ্লাইট সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে।