জাতীয় সংসদে রাজাকারের সন্তানদের প্রতিনিধিত্ব করা রাষ্ট্রের জন্য অমর্যাদাকর এবং রাজাকারের সন্তানদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া দুঃখজনক ও বিব্রতকর। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময় বিষয়টি দলকে অবগত করা হবে বলেও জানান তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে বরগুনা জেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানের শেষ দিন বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে ১২০০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান করে জেলা প্রশাসন।
মন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে রাজাকারের সন্তানরা যখন নির্বাচিত হয়, তখন তাদের প্রতিহত করার সুযোগ থাকে না সরকারের। তাই সাধারণ মানুষকে রাজাকারের সন্তানদের ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
রাজাকারের তালিকা প্রকাশ না হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকার মাত্র ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। আওয়ামী লীগের থেকে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন না করা দলগুলো। ফলে দেশের সব সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান করা ব্যক্তিরা খুঁটি গেড়ে বসে ছিল। তারা রাজাকারের তালিকা তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে রাজাকারের তালিকা তৈরির জন্য সংসদে একটি আইন প্রস্তাব করা আছে। এটি অনুমোদিত হলে রাজাকারের তালিকা তৈরি করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর কবীর প্রমুখ।
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা ও কার্যক্রমের মধ্যে ছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর নেওয়া ও অর্থসহায়তা প্রদান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অর্থসহায়তা, হতদরিদ্র মানুষকে অর্থসহায়তা এবং ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ।