ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন। এরপর দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। এবার বাংলাদেশের সেই নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তারা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে।
বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়ে ইইউয়ের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল এ কাজে তাদের সহায়তা করা হবে ও এই প্রক্রিয়া অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।
এদিকে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। শুক্রবার (৯ আগস্ট ) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ানের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকায় দেশটির দূতাবাস।
চীনা মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, বাংলাদেশ একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে। চীন তাকে স্বাগত জানায়। চীন দৃঢ়ভাবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করে। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং বাংলাদেশি জনগণের স্বাধীনভাবে নির্বাচিত উন্নয়নের পথকে সম্মান করি।
মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভালো প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বের নীতিতে দৃঢ়ভাবে অটল আছি। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব দীর্ঘ ও গভীর। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে মূল্য দেয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক আদান-প্রদান ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। আমাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারে আছেন ১৭ জন। এদিন রাত ৯টার পর বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।