শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

অন্টারিও নির্বাচনে বাংলাদেশি তিন প্রার্থী

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২২ | ১:২০ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২২ | ১:২০ অপরাহ্ণ
অন্টারিও নির্বাচনে বাংলাদেশি তিন প্রার্থী

আগামী ২ জুন কানাডার অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরো প্রদেশে এখন ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বিভিন্ন কারণে প্রদেশের বাসিন্দাদের জন্য এবারের নির্বাচনটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এর আলাদা একটি গুরুত্ব তৈরি হয়েছে। কারণ এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ডলি বেগম। এর আগেও তিনি ২০১৮ সালে এনডিপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য একটি গৌরবোজ্জল রেকর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট রাইডিং-এ এবারও তিনি প্রার্থী।

ডলি বেগমের বাইরে আরো দুজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী এবার প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে ইটোবিকো-লেকশোর থেকে প্রার্থী হয়েছেন এনডিপি প্রার্থী ফারহিন আলিম এবং ওকভিল নর্থ বারলিংটন থেকে লিবারেল পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কানিজ মৌলি।

বিজয়ী হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে এনডিপি প্রার্থী ডলি বেগম বলেন, গত চার বছর তিনি অন্টারিয়ানদের বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদে সোচ্চার থেকেছেন। অভিবাসীদের সমস্যা নিয়ে সরব থেকেছেন। তার চার বছরের কাজের মূল্যায়নে ভোটাররা এবারো তাকে বিজয়ী করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। ডলি বেগম বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা মূলত অভিবাসী। নিজে একজন অভিবাসী পরিবারের সদস্য হিসেবে তার সমস্যা, তাদের চাওয়া আমি সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারি।

ওকভিল নর্থ বারলিংটন থেকে লিবারেল পার্টির প্রার্থী কানিজ মৌলি বলেন, অন্টারিওর মধ্যবিত্ত সমাজের জন্য সবচেয়ে প্রগতিশীল এবং অগ্রসর ভাবনার কর্মসূচি নিয়ে অন্টারিও লিবারেল পার্টি এবার নির্বাচন করছে। তিনি আশা করছেন, তাদের কর্মসূচির কারণেই জনগণ তাদের এবার ভোট দেবে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সক্রিয় রাজনীতি করা কানিজ মৌলি বলেন, রাজনীতি এবং প্রশাসনিক পর্যায়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

ইটোবিকো-লেকশোর থেকে এনডিপি প্রার্থী ফারহিন আলিম বলেন, আমি একজন হাই স্কুল শিক্ষক, পেশাদার রাজনীতিক নই। কিন্তু কোভিড মহামারিতে আমার ছাত্রছাত্রীদের যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তা দেখে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। নিজের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ফারহিন আলিম বলেন, অভিবাসী, মধ্যবিত্ত নাগরিকদের সমস্যা নিয়ে আমি কাজ করতে চাই।

অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের প্রার্থিতা নিয়ে কানাডার নতুন দেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর বলেন, প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনজনের মনোনয়ন পাওয়ায় প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক এবং সম্মানের বিষয়।

তিনি কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের আরও বেশি অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শুধু প্রার্থী নয়, ভবিষ্যতে আমরা আরো বেশি বিজয়ী প্রবাসীদের কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে দেখতে চাই, যাতে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে একটি সুদৃঢ় সেতুবন্ধন তৈরি হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট